হস্ত মৈথুন বন্ধ করার উপায়
একটি যৌন শিক্ষামূলক প্রতিবেদন
দয়া করে শেয়ার করবেন
হস্তমৈথুন কি জায়েজ? নাকি হারাম?
হস্তমৈথুন/হাতমারা নিয়ে ইসলাম থেকে সামান্য কিছু আলোচনা।
+ #হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার কিছু টিপস/ উপায়।
পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দুরুদ ও সালাম আল্লাহ পাকের হাবিব রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর।
বর্তমানে কিছু নামধারী মুসলমান বাল্যবিবাহের বিপক্ষে অথচ একটা ছেলে ১৫-১৬ বছরে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে যায় কিন্তু সরকারের কুফরি নিয়মের কারনে ২২ বছরের আগে সে বিবাহ করতে পারছেনা, এখন এই ছেলের যখন সেক্স এর প্রয়োজন হবে তখন এই ছেলে কি করবে? প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর ৭-৮ বছর সে নিজের উত্তেজনাকে কিভাবে সালাম দিয়ে রাখবে যেখানে সমাজে অস্লিলতার জন্যে হাজার হাজার পথ খোলা রয়েছে আর এর মধ্যে সবথেকে সহজ পথ হলো হস্তমৈথুন।
তাই হস্তমৈথুন নিয়ে আলোচনা করার প্রয়োজন মনে করলামঃ-
হস্তমৈথুন বলতে হাত দ্বারা মৈথুনকে বুঝায়। অর্থাৎ হাতকে কোন মেয়ের গুপনাংগ হিসেবে কল্পনা করে লিঙ্গ সঞ্চালন করে বীর্যপাত ঘটানো বুঝায়। বীর্যপাতের পর বলে হায় হায় এটা করা ঠিক হয়নি...!
*হযরত জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, “কত নিকৃষ্ট ঐ ব্যক্তি, যে হাতের সাথে হস্তমৈথুন করে।” হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লহু তায়ালা আনহু উনার মজলিস শেষে একদিন সবাই চলে যাওয়ার পর এক যুবক বসে রইলো। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লহু তায়ালা আনহু তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কী চাই? সে বললো, আমি একটা মাসআলা জিজ্ঞেস করতে চাই। আগে লোকলজ্জার কারণে বলি নাই। তিনি বলেন, আলেমের কাছে অকপটে যেকোনো মাসআলা সম্পর্কে বলতে পারো। সে বললো, আমি যুবক মানুষ, আমার কোন স্ত্রী নেই তাই হস্তমৈথুন দ্বারা যৌনক্ষুধা নিবারণ করি। এটা কি গুনাহ? আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লহু তায়ালা আনহু এ কথা শুনে চেহারা ঘুরিয়ে ফেললেন এবং বললেন, ছি! এর চেয়ে তো বাঁদীর সাথে বিয়ে করে নেয়াই তোমার জন্যে শ্রেয়। সুতরাং বুঝা গেলো যে হস্তমৈথুন হারাম। {আল - হাদিস}
হস্তমৈথুন ছেলে ও মেয়ে সকলের জন্যই হারাম। ইমাম শাফেয়ী কুরআনের এই আয়াতের মাধ্যমে একে হারাম বলে ফতোয়া দিয়েছেন --!>
"এবং যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে। তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না। অতঃপর কেউ এদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করলে তারা সীমালংঘনকারী হবে।" (সূরা মুমিনুনঃ আয়াত ৫-৭)
উক্ত আয়াতে নিজ স্ত্রী ও দাসী [(আজীবনের জন্য ক্রয়কৃত) দাস প্রথা বর্তমানে নিষিদ্ধ] ব্যতীত সকল প্রকার অবৈধ যৌনাচারণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে যার মধ্যে হস্তমৈথুনও অন্তর্ভুক্ত । আর যে এটাকে অমান্য করবে সে সীমা লঙ্ঘনকারী ।
* "যারা বিবাহে সামর্থ নয়, তারা যেন সংযম অবলম্বন করে যে পর্যন্ত না আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেন।" (সূরা আন নুরঃ আয়াত ৩৩)
এখানে, আল্লাহ তায়ালা ; যারা বিবাহে সমর্থ নয় তাদের ধৈর্য্য ধারণের নির্দেশ দিয়েছেন ।
হাদীস হতে আমরা পাই ,
প্রখ্যাত সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) তিনি বলেন, আমরা যুবক বয়সে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার সাথে ছিলাম; অথচ আমাদের কোন কিছু (সম্পদ) ছিল না। এমনি অবস্থায় আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, "হে যুব সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে, তারা যেন বিয়ে করে। কেননা, বিয়ে তার দৃষ্টিকে সংযত রাখে ও যৌনাংগকে হেফাজত করে । যাদের বিয়ে করার সামর্থ্য নেই, সে যেনো সিয়াম (রোযা) পালন করে। কেননা, রোযা তার যৌনতাকে দমন করবে। (বুখারী শরিফ ৪৬৯৬ ইফা)
(like fb- IslamicXtips)
সুতরাং যারা বিয়ে করার সামর্থ্য না রাখে তাদের সংযম করা ছাড়া কোন পথ নেই। এটাই ঈমানের পরীক্ষা।
"হস্তমৈথুনের বিষয়টিতো শরীয়ত সুনিশ্চিত নিষিদ্ধ করেছে। আর জমহুর ফুক্বাহারা এটাকে নাজায়েজ বলেছেন।" (খুলাসাতুল ফাতওয়া-১/২৬)
[বিদ্রঃ বর্তমানে একদল #ফেৎনাবাজ_খবিশ শায়েখ এই যুক্তি দিয়ে একে বৈধ করার চেষ্টা করে, যে যেহেতু কুরআন হাদীসের কোথাও একে সরাসরি হারাম করা হয়নি তাই এটা জায়েজ! কেউ একথা বললে ঐসব খবিশদের বলবেন "পারলে দেখানতো দেখি এটাকে কোনো হাদীসে হালাল বলা হয়েছে কিনা?" দেখবেন মূর্খগুলো দেখাতে পারবেনা! তখন, বলবেন যেসব বিষয়কে কোরআন-হাদীসে হালাল বলা হয়নি, তা কিভাবে হালাল হবে?! উত্তর না দিয়ে তর্ক করলে ঐ বেটার পাছায় কয়েকটা লাথি দিবেন ! :-)
হস্তমৈথুন করলে শরীরের অনেক ক্ষতি হয়, আর ইসলামে ক্ষতিকর সব জিনিস ই হারাম। এদিক দিয়েও হস্তমৈথুন হারাম।
সবশেষে ১টা প্রশ্ন করতে চাই:- যে হাত দিয়ে আল্লাহর একত্ববাদ ঘোষণা করা হয়, সেই হাত দিয়ে কি কোনো মুসলিম এই নোংরা কাজ করতে পারে?!!
(like fb- StopChotiGolpo)
হস্তমৈথুন থেকে বাঁচার উপায়ঃ
১। সম্ভব হলে প্রাপ্তবয়স্ক হলে বিয়ে করে নেওয়া। তারাতারি বিয়ে হওয়ার জন্য নিয়মিত দোয়া করা ও প্রস্তুতি নেওয়া + চেষ্টা করা ।
২। উত্তেজনা সৃষ্টি কারী সকল বস্তু থেকে দূরে থাকতে হবে। যেমন, খারাপ ভিডিও, খারাপ গল্প, মেয়েদের সাথে আড্ডা, খারাপ চিন্তা etc.
৩. কোন কারণে লিঙ্গ উত্তেজিত হলে হাত দ্বারা স্পর্শ করবে না ।
৪। অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। (আল হাদীস)
তাই একা একা অলস সময় কাটাবেন না। ছোট বড়
যেকোন একটা কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। পত্রিকাপড়ুন, ইসলামি বই পড়ুন, বাংলা কোরআন পড়ুন, বাগান করুন, ব্যায়াম করুন, কবুতর/ কোয়েল পালুন,ফেসবুকে ইসলাম নিয়ে লেখালেখি করুন!
৪। কোনো অবস্থাতেই ৫ওয়াক্ত নামায মিস করবেন না।
কারণ , " নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে ।" (আল কোরআন:সূরা আনকাবুত:৪৫ )
৫। বেশি বেশি আল্লাহকে স্মরন করুন। বলুন "ইয়া আল্লাহ,অশ্লীলতা থেকে বাচার জন্য আমি আপনার আশ্রয় চাচ্ছি"।
৬। বেশি বেশি মৃত্যুকে স্বরণ করুন ।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ পোষ্ট টা পড়ে যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্স এ আপনার মতামত জানাবেন আর আপনার বন্ধু বান্ধবদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
Comments
Post a Comment